দখিনের খবর ডেস্ক ॥ আমার সুনিশ্চিত বিজয় বুঝতে পেরে, ভোট গণনার সময় আমি কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলেও আমাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি আমার এজেন্ট পূর্ণরায় ভোট গণনার আবেদন করলে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ষড়যন্ত্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্যর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় সুক্ষ কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করেছে। রোববার সন্ধ্যায় জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বিজয়পুরস্থ নিজবাড়িতে শত শত কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক ভিপি সুমন মাহামুদ। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সুমন মাহামুদ স্থানীয় রাজনৈতিক কতিপয় প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার, প্রশাসনিক কর্মকর্তার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহনের পর ভোট গণনার সময় আমাকে প্রশাসন জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। নির্বাচনী সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে আমার উটপাখি মার্কার ৬৬টি ভোট নস্ট করে দিয়ে ২৮ ভোটের ব্যবধানে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আতিকুর রহমান শামিমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আমার এজেন্ট পূনরায় ভোট গণনার কথা বললে প্রশাসনের লোকজন বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি (সুমন) বলেন, ২৭শ’ ৩২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে ২৯শ’ তিনজন ব্যক্তির ভোট। এমনকি পূর্নরায় ভোট গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসারের কাছে আবেদন করা সত্বেও আবেদন গ্রহণ করা হয়নি বলেও সুমন উল্লেখ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ফলাফল ঘোষনার পরপরই শামীম ও তার সমর্থকরা সুমন সমর্থক নারী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা (কর্মী-সমর্থক) পূর্ণরায় ৬নং ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply